দ্রুত চুল লম্বা করার ঘরোয়া উপায় - ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায়

আপনি যদি দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় - ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে দ্রুত চুল লম্বা করা যায় বা দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় ও ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় - ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় - ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায়
দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় এবং এক মাসে চুল লম্বা করার উপায় জানতে এই পর্বটি পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আজকে আলোচনা করা হবে কিভাবে মাথার চুল দ্রুত লম্বা করা যায় দ্রুত লম্বা করার সকল উপায় সম্পর্কে। দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় - ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায় জেনে নিন।

দ্রুত চুল লম্বা করার উপায়

লম্বা চুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া দায়। প্রত্যেকটা মেয়ের স্বপ্ন তার কেশবতীর মত লম্বা চুল থাক। প্রতিদিনের ব্যস্ততার কারণে চুলের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। আজ আমরা চুল দ্রুত লম্বা করার সহজ কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

ঠান্ডা পানি

চুল ধোয়ার সময় অবশ্যই সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত বেশি তাপমাত্রা কিংবা কম তাপমাত্রার পানি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো চুলের আদ্র টা কে নষ্ট করে দেয় এবং চুলের কিউটিকল গুলো কেউ বিনাশ করে ফেলে। তাই চুল পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে।

তেল

তেল হল চুলের একমাত্র পুষ্টিকর খাবার। খাবার ছাড়া যেমন কোন স্বার্থ আশা করা যায় না তেমনি চুলে তেল মালিশ করা ছাড়া চুলের সঠিক স্বার্থ কল্পনা করা যায় না। তাই স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত মাথায় তেল মালিশ করুন। নিয়মিত তেল মালিশ মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার ফলে চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছায় এবং এতে চুলের বৃদ্ধি অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল হলো চুল দ্রুত ঘন এবং বৃদ্ধি করার মহা ঔষধ। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটি চুল দ্রুত বাড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সামান্য পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারিকেলের তেল/অলিভ অয়েল/বাদাম তেল কিংবা যেকোনো ধরনের তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। এরপর 30 থেকে 40 মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার এই তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে অব্যাহত রাখবে।

ডিম

চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো ডিম। ডিমে প্রোটিন, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, সালফার ও সেলেনিয়ান রয়েছে। এটি চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সপ্তাহে অন্তত একবার প্যাকের সঙ্গে ডিম ব্যবহার করুন।

নিয়মিত চুল কাটা

যাদের চুলের আগা ফাটার ইতিহাস রয়েছে তাদের নিয়মিত চুল কাটা উচিত। বিশেষ করে দুই মাসে অন্তত একবার চুলের আগা কাটা উচিত। এতে চুলের আগা ফাটা সমস্যা বিধির পরিমাণ কমে যাবে। এবং চুল আগের তুলনায় অধিক স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল দেখাবে।

ভিটামিন

চুলের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন একটি ওটা আবশ্যকীয় উপাদান। চুলের প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন না পেলে চুলের বৃদ্ধি কেমন কমে যায় তেমনি চুল দেখতে অনেকটা রুক্ষ ও শুষ্ক মনে হয়। চুলে ভিটামিনের ঘাটি পূরণ করার জন্য ভিটামিন বি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ঔষধ গুলো খাওয়া যেতে পারে। যা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দিবে। তবে অবশ্যই রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ধরনের ভিটামিন ঔষধ গুলা সেবন করতে হবে।

শ্যাম্পু

চুল থেকে ময়লা অপসারণের জন্য আমরা শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু শ্যাম্পু আমাদের চুলের ন্যাচারাল অয়েলকে ড্যামেজ করে দেয় এবং চুলকে রুক্ষ করে তোলে। তাই শ্যাম্পু ব্যবহারের দিকে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু পরিহার করতে হবে। এবং চুলে ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে কোন বিউটিশিয়ান এর সাহায্যে আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করতে পারেন।

কন্ডিশনার

শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু চুলের ময়লা অপসারণের পাশাপাশি চুলের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যাচারাল অয়েল কেউ চুল থেকে বের করে দেয়। এতে চুলের ড্যামেজ সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে শ্যাম্পু করার পরে অবশ্যই অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

চুলে হিট না দেওয়া

কিছু সময়ের সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেকেই চুলে বিভিন্নভাবে হিট দিয়ে থাকি। কিন্তু এগুলো আমাদের চুলকে স্থায়ীভাবে ড্যামেজ করে ফেলে। এগুলো আসলেই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিঅর। চুলে স্টেটনার বা কারলিং আইরন গরম করে ব্যবহার করার ফলে চুল ক্রমশ দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, যেটি চুল লম্বা হওয়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। তাই অবশ্যই চুলের হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

বালিশ

চুল যেহেতু নিজেই প্রকৃতিক উপায়ে তেল তৈরি করে এবং চুলের গোড়াকে মজবুত রাখে। সেহেতু রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সঠিক বালিশ নির্বাচন করতে হবে। সুতি, পলেস্টার বা রেওনের কাপড় তেলের চুলকে শুষে নেয় তাই বালিশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সিল্কের ওয়ার যুক্ত বালিশ ব্যবহার করতে হবে। এবং রাতে ঘুমানোর সময় চুল বেঁধে ঘুমাতে হয়।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়

আপনি যদি ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। কেননা এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে সাত দিনের মধ্যে চুল লম্বা করা যায় সেই সম্পর্কে। ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় নিচে দেওয়া হল।

স্ক্যাল্প মাসাজ

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই স্ক্যাল্প মাসাজ করে নিতে হবে। চুলের মধ্যেকার জট সরিয়ে নিয়ে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে স্ক্যাল্প সামান্য চাঁদ দিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করতে হবে। এতে করে আপনার স্ক্যাল্প রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এভাবে চুলের গোড়া পুষ্টি পায় এবং চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন চুলে তেল মাখার অভ্যাস করতে হবে।

দারচিনির পানি খেতে হবে

দারচিনি আপনার পেটের জন্য খুব ভালো এবং পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পেট ভালো রাখা কতটা প্রয়োজনীয় দারচিনি। সামান্য গরম পানিতে ভিজিয়ে লেবুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে। আপনার যদি পেট ভালো থাকে তাহলে এর প্রভাব ত্বকে এবং চুলের ওপরে পড়বে। একটানা 21 দিন এভাবে মেনে চললে আপনি ফলাফল পাবেন।

স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা

শ্যাম্পু করারও কিছু নিয়ম রয়েছে। শ্যাম্পু চুলে লাগানোর পরিবর্তে স্ক্যাল্প এর লাগানোর অভ্যাস করতে হবে। কারণ শ্যাম্পু ক্লিনজারের কাজ করে থাকে স্ক্যাল্প ক্লিনজিন করুন শ্যামপুর সাহায্যে। এজন্য সপ্তাহে অন্তত তিন দিন স্ক্যাল্প পরিস্কার করতে হবে।

চুল ভালো রাখায় যোগাসন করতে হবে

চুল ভালো রাখার জন্য শুধু যে চুলের যত্ন নিতে হবে এমন কিন্তু নয়। বরং লাইফস্টাইলে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণে যোগাসন করার পরামর্শ দিচ্ছে অনেকেই।

ডায়েট করতে হবে

চুলের সমস্যার সমাধান করার জন্য শুধু যে তেল শ্যাম্পু মাখলে হবে এমন কিন্তু নয়। বরং নিজের ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তার প্রভাব আপনার চুলের উপরেও পড়তে পারে। তাই সময়মতো ডায়েট স্বাস্থ্যকর করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

চুল লম্বা করার তেলের নাম

আপনি নিশ্চয় চুল লম্বা করার তেলের নাম ও দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন চোখ লম্বা করার তেলের নাম এবং চুল লম্বা করার তেলের দাম কত সেই সম্পর্কে। চুল লম্বা করার তেলের নাম ও দাম নিচে দেওয়া হলঃ
  • আর্গান তেলঃ আরগান তেল ব্যবহারের নিয়ম হলো হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা আরগান তেল নিয়ে মাথার পুরোপুরি চুলে ম্যাসাজ করতে হবে বিশেষভাবে যখন চুল শুকনো থাকে। আপনি যদি মাত্র এক থেকে দুই ফোঁটা প্রয়োগ করেন তবে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।
  • আলমন্ড তেলঃ আলমন্ড তেল ব্যবহার করার নিয়ম হলো এই তেল গুলো চুলে প্রয়োগ করার পাশাপাশি খাওয়াও যাই। সমানভাবে চুলে এই তেল গুলো লাগাতে হবে। এই তেলটি চলে ভালোভাবে দেওয়ার পরে সারারাত রেখে দিতে হবে এবং সকালের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আদ্রতা ধরে রাখতে কয়েক ফোটা তেল কন্ডিশনিং এর পরও ব্যবহার করতে পারেন।
  • নারিকেল তেলঃ মাথার তালুতে লাগানোর পূর্বে গরম করার জন্য আপনার তালুর মধ্যে সামান্য নারিকেল তেল ঘুষতে হবে। যদি তৈলাক্ত মাথার ত্বক থাকে তবে চুলের গোড়া এড়িয়ে চুলের ওপরেল ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং মাঝখানে থেকে চুলে তেল লাগাতে পারেন। হট ওয়েল ট্রিটমেন্টও নিতে পারেন এই তেল ব্যবহার করে।
  • টি ট্রি ওয়েলঃ এই তেলটি যে কোন সাধারণ তেল এর সাথে মিশিয়ে নিয়ে স্ক্যাল্প লাগাতে হবে। এক ঘন্টার পর ধুয়ে ফেলতে হবে এবং আপনার নিয়মিত শ্যাম্পোতে সামান্য কিছু পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেন এবং চুল পানি দিয়ে ধোয়ার সময় সময় লাগাতে পারেন।
  • ক্যাস্টর অয়েল তেলঃ ক্যাস্টর অয়েল তেল অন্যান্য তেলের মত নয়। এই তেলটি ঘন হয়ে থাকে। ক্যাস্টর অয়েল তেল সহজেই প্রয়োগ করার জন্য একটি হালকা তেলের সাথে মিশ্রণ করতে হয় যেমন আপনি যদি নারিকেল তেল অথবা আলমন্ডল তেল এর সাথে মিশে ব্যবহার করতে পারেন। ক্যাস্টর অয়েল তেল এবং নারিকেল তেল মিশ্রণ করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন।

চুল লম্বা করার ঘরোয়া পদ্ধতি

আপনি যদি চুল লম্বা করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। কেননা এই পর্বের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে চুল লম্বা করা যায় সেই সম্পর্কে। চুল লম্বা করার ঘরোয়া পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল।
  1. ঠান্ডা পানিঃ চুল ধোয়ার সময় অবশ্যই সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত বেশি তাপমাত্রা কিংবা কম তাপমাত্রার পানি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো চুলের আদ্র টা কে নষ্ট করে দেয় এবং চুলের কিউটিকল গুলো কেউ বিনাশ করে ফেলে। তাই চুল পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাধারণ তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে।
  2. দারচিনির পানি খেতে হবেঃ দারচিনি আপনার পেটের জন্য খুব ভালো এবং পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পেট ভালো রাখা কতটা প্রয়োজনীয় দারচিনি। সামান্য গরম পানিতে ভিজিয়ে লেবুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে। আপনার যদি পেট ভালো থাকে তাহলে এর প্রভাব ত্বকে এবং চুলের ওপরে পড়বে। একটানা 21 দিন এভাবে মেনে চললে আপনি ফলাফল পাবেন।
  3. চুল ভালো রাখায় যোগাসন করতে হবেঃ চুল ভালো রাখার জন্য শুধু যে চুলের যত্ন নিতে হবে এমন কিন্তু নয়। বরং লাইফস্টাইলে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণে যোগাসন করার পরামর্শ দিচ্ছে অনেকেই।
  4. ডায়েট করতে হবেঃ চুলের সমস্যার সমাধান করার জন্য শুধু যে তেল শ্যাম্পু মাখলে হবে এমন কিন্তু নয়। বরং নিজের ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তার প্রভাব আপনার চুলের উপরেও পড়তে পারে। তাই সময়মতো ডায়েট স্বাস্থ্যকর করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
  5. নিয়মিত চুল কাটাঃ যাদের চুলের আগা ফাটার ইতিহাস রয়েছে তাদের নিয়মিত চুল কাটা উচিত। বিশেষ করে দুই মাসে অন্তত একবার চুলের আগা কাটা উচিত। এতে চুলের আগা ফাটা সমস্যা বিধির পরিমাণ কমে যাবে। এবং চুল আগের তুলনায় অধিক স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
  6. ভিটামিনঃ চুলের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন একটি ওটা আবশ্যকীয় উপাদান। চুলের প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন না পেলে চুলের বৃদ্ধি কেমন কমে যায় তেমনি চুল দেখতে অনেকটা রুক্ষ ও শুষ্ক মনে হয়। চুলে ভিটামিনের ঘাটি পূরণ করার জন্য ভিটামিন বি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ঔষধ গুলো খাওয়া যেতে পারে। যা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দিবে। তবে অবশ্যই রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ধরনের ভিটামিন ঔষধ গুলা সেবন করতে হবে।

চুল লম্বা করার হেয়ার প্যাক

দ্রুত চুল ঘন এবং লম্বা করার হেয়ার প্যাক। ঘন কালো চুল সব নারীরে কাম্য। কিন্তু অনেক নারী অভিযোগ করে যে তাদের চুল লম্বা হয় না। আপনার চুল যদি লম্বা না হয় তাহলে আপনি চুল লম্বা করার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন চুল রাতারাতির লম্বা করা সম্ভব না। চুল লম্বা করার জন্য প্রয়োজন হয় যত্নের পুষ্টিকর খাদ্যের। তাই নিচে চুল লম্বা করার হেয়ার প্যাক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কারি পাতা এবং নারিকেল তেল

চার থেকে পাঁচটি কারিপাতা এবং দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল নিতে হবে। কারি পাতা গুঁড়ো করে একটি পাত্রে নিতে হবে। নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলায় গরম করে নিন এবং জাল হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম গরম অবস্থায় চলে কয়েক মিনিট মাসাজ করতে হবে। 15 থেকে 20 মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটে নিতে হবে। চুলে ম্যাসাজ করে ভালো করে লাগাতে হবে। ডিমের প্রোটিন চুলে পুষ্টি যুগে চুল মজবুত করে তুলতে হবে। এভাবে ব্যবহারের পর চুল ঘন এবং লম্বা হবে।

ডিম এবং দুধের প্যাক

একটি ডিমের সাথে এক কাপ দুধ এবং একটি লেবুর রস ও দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল তেল নিতে হবে। প্রথমে ডিম থেকে সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে ফেলতে হবে। তৈলাক্ত চুলের ডিমের সাদা অংশ এবং নরমাল চুলের জন্য সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে হবে। চুলে মেসেজ করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

পাকা কলার প্যাক

এক থেকে দুইটি পাকা কলা নিয়ে এক চামচ নারিকেল তেল, এক চামচ অলিভ অয়েল তেল এবং এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। মেসেজ করে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। 10 থেকে 15 মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং চুল পানি দিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু করতে হবে।

শেষ কথা

এতক্ষণে নিশ্চয়ই দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় - ১ মাসে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। দ্রুত চুল লম্বা করার জন্য আপনার যদি আর কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এই পর্বটি আপনার যদি উপকারে আসে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url