সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম - সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ

প্রত্যেকটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার আচুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় - অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধানগে অবশ্যই খাওয়ার নিয়ম জেনে খেতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ওষুধ সেবন না করেন অথবা আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন না করে থাকেন তাহলে এর সাইড ইফেক্টে আপনার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই আছেন সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এমজি ওষুধ সেবন করার পূর্বে এর খাওয়ার সঠিক নিয়ম অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম - সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ
প্রত্যেকটি ওষুধে সেবনের পূর্বে অবশ্যই এর সঠিক নিয়ম এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কেননা আপনি যে ওষুধটি সেবন করবেন সেই ওষুধের যদি সঠিক ব্যবহারের নিয়ম না জেনে খেয়ে থাকেন তাহলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই আজকে আমরা এই পর্বে আলোচনা করব সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম এবং সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ এবং সিপ্রোফ্লক্সাসিন কেন খাওয়া হয়

  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ mg
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর দাম কত
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 কিসের ঔষধ
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর ডোজ
  • সিপ্রোফ্লাক্সোসিন কতদিন খেতে হয়
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভেট এর কাজ
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন কাদেরকে দেওয়া যাবেনা
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 mg এর দাম কত
  • গর্ভকালীন সময়ে কি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা যাবে
  • শেষ কথা

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম অথবা কিভাবে খেতে হবে ও ব্যবহারের নিয়ম আজকে এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন। অনেকেই রয়েছে সিপ্রোফ্লক্সাসিন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই তাদের জন্য আজকের এই পর্বটি। এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম কি। সংক্রমণের ধরন, তীব্রতা, রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংবেদনশীলতা,রোগীর ওজ্‌ন, রোগীর বয়স ও বৃক্কের কার্যকারিতার ওপর নির্ভর করে সাধারণত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর নির্ধারিত মাত্রা নির্ধারণ করে।

প্রাপ্তবয়স্ক

তো বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণত সিপ্রোফ্লাক্সোসিন ঔষধ সেবনের মাত্রা ১০০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার।নিম্ন ও ঊর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনের তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার।স্টেপটোকক্কাস দ্বারা সংক্রমণিত নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার করে পরামর্শ দেওয়া হয়।গনোরিয়া চিকিৎসায় ২৫০ বা ৫০০ মিলিগ্রাম একক মাত্রায় দৈনিক দুইবার দেওয়া হয়

সিস্টিক ফাইব্রোসিস

সিডোমোনাস দ্বারা সংক্রমিত নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণের জন্য ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার সিপ্রোফ্লক্সাসিন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে রোগীদের দৈহিক ওজনের কথা বিবেচনা করা হয়।

বৃক্কীয় কার্যকারিতা

বিক্রিও কার্যকারী তার অপ্রতুলতা ব্যতীত মাত্রা পুনঃনির্ধারণের তেমন কোন প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন হয় তবে ওষুধের মাত্রার অর্ধেক করার মাধ্যমেই ঔষধের সেরামলেবল পর্যবেক্ষণ করা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।

বৃদ্ধ

যদিও এসব রোগীদের সেরামে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অধিকতর পরিমাণে উপস্থিত থাকে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত মাত্রার কোন প্রয়োজন নেই।

শিশু ও কিশোর

এন্টিবায়োটিক গ্রুপের অন্যান্য ঔষধের মতো ওই সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও অপরিচিত বয়সে দেওয়া একদমই উচিত নয়। এটি অপরিণীত জীবের ক্ষেত্রে ভয়াবহকারী অস্থি সন্ধিতে অর্থোপেডিক সৃষ্টি করতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা এখনো জানা যায়নি তা সত্ত্বেও শিশু, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশজ্ঞ নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ডাক্তার এই গ্রুপের শিশুদের জন্য ব্যবহার উপযোগী এমন ধরনের ঔষধ সাজেস্ট করতে পারেন।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ

কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই সেই ওষুধের কি কাজ এবং আপনি কোন রোগের জন্য সেই ওষুধটি সেবন করছেন সেটি কনফার্ম হতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে রোগের জন্য খাবেন সেই রোগ সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অবশ্যই কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ কি যদি আপনি না জেনে থাকেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের থেকে জেনে নিয়ে সিপ্রোফ্লএক্সাসিন ওষুধ সেবন করবেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর কাজ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।
সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিন্থেটিক কেমোথেরাপেটিক্যাল এজেন্ট বা জীবন হরণকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। এটি ফ্লোরো কুইনালন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক। এটি এন্টিবায়োটিক এর দ্বিতীয় প্রজন্মের ঔষধ। সারা বিশ্বে প্রায় 300 টিরও বেশি কোম্পানি বিভিন্ন জাতের সিপ্রোফ্লাক্সাসিন বাজারজাত করে থাকে। যেমন বাংলাদেশ এটি সিপ্রোসিন, সিপ্রো্‌, সারভিনা পক্স, কেপ্রন ইত্যাদি নামে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। এটি সিরাপ, ট্যাবলেট ও ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়। এটি ২৫০ এমজি, 500 এমজি ও ৭০০ এমজি হিসেবে বাজারে সংরক্ষিত রয়েছে। মানুষ সহ অন্যান্য পশুর জন্য সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ mg

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ mg কিসের ঔষধ এবং কোন রোগে ব্যবহার করা হয় এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন আমাদের কাছ থেকে। আপনি যে ঔষধি সেবন করেন না কেন অবশ্যই কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকতে হবে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ mg সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধটি একটি এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ যেমন(নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, গণকক্কাল, মূত্রনালীর সংক্রম্‌ন, চর্ম ও নরম কলার সংক্রমণ, অস্থিও সন্ধির সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণ, পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, গনোরিয়া) এ জাতীয় চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ফ্লোরো কুইনোলন নামক এক ধরনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ঔষধ। এটি সাধারণত সর্দি কাশি বা ফ্লু জাতীয় বা virus ঘটিত সংক্রমনের জন্য দেওয়া হয় না।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ

বর্তমানে অনেকেই রয়েছে যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই যে কোন ফার্মেসিতে গিয়ে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ওষুধ নিয়ে নিজেই সেবন করে। এটা করা থেকে অবশ্যই আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্যই মনে রাখবেন কোন ফার্মেসি বা কোন দোকান থেকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ ক্রয় করে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়। আপনি যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ না জেনে থাকেন তাহলে আপনি কিভাবে এটি সেবন করবেন সেটাই মুখ্য বিষয়। সেবনের পূর্বে অবশ্যই সিপ্রোফ্লক্সাসিন কিসের ঔষুধ বিস্তারিত জানুন।
সিপ্রোফ্লক্সেসিন একটি এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ যেটি ফ্লোরো কুইনালন পরিবারের সদস্য। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ সংশ্লেষণে বাধা সৃষ্টি করে যাতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। নিউমোনিয়া, শ্বাসতন্ত্র বা মূত্রনালীর সংক্রম্‌ন, হাড় বা চামড়ার সংক্রমণ, বা অন্যান্য যে কোন সংক্রমণিত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, অনিয়মিত হৃদয়ের স্পন্দন ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের এজাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়

আপনাকে যদি কোন ডাক্তার সিপ্রোফ্লক্সাসিন ওষুধ খাওয়ার জন্য লিখে দেয় তাহলে অবশ্যই আপনি আগে দেখে নেবেন সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়। তাহলে আপনি জানতে পারবেন আপনার মূলত কি ধরনের সমস্যা হয়েছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয় জানলে আপনি সেই রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধটি একটি এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ যেমন(নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, গণকক্কাল, মূত্রনালীর সংক্রম্‌ন, চর্ম ও নরম কলার সংক্রমণ, অস্থিও সন্ধির সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণ, পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, গনোরিয়া) এ জাতীয় চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ফ্লোরো কুইনোলন নামক এক ধরনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ঔষধ। এটি সাধারণত সর্দি কাশি বা ফ্লু জাতীয় বা virus ঘটিত সংক্রমনের জন্য দেওয়া হয় না।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি এবং কেন খাওয়া হয় সেই সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধটি একটি এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ যেমন(নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, গণকক্কাল, মূত্রনালীর সংক্রম্‌ন, চর্ম ও নরম কলার সংক্রমণ, অস্থিও সন্ধির সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের নিম্নভাগের সংক্রমণ, পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, গনোরিয়া) এ জাতীয় চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ফ্লোরো কুইনোলন নামক এক ধরনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ঔষধ। এটি সাধারণত সর্দি কাশি বা ফ্লু জাতীয় বা virus ঘটিত সংক্রমনের জন্য দেওয়া হয় না।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর দাম কত

অনেকেই রয়েছে যারা সিপ্রোফ্লক্সাসিন বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকে। আবার অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো এই আসল ওষুধ গুলোর নকল বের করে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে থাকে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর দাম কত না জানার কারণে অনেক ফার্মেসিগুলো বেশি দামে বিক্রি করে থাকি ক্রেতাদের কাছে। তাই যে কোন ওষুধ কেনার পূর্বে ওষুধের দাম জেনে ক্রয় করতে হবে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর দাম কত জেনে শুনে ক্রয় করুন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এমজি ট্যাবলেট এর দাম ৯০ টাকা বাংলাদেশী টাকা।
সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর দাম কত

সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 কিসের ঔষধ

সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 কিসের ঔষধ এবং কিভাবে সেবন করবেন এই নিয়ে আজকের পর্ব। এই পর্বে আপনি সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এমজি ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 কিসের ঔষধ এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সিপ্রোফ্লক্সোসিন এন্টিবায়োটিক জাতীয় ফ্লোর কুইনালন গ্রুপের ঔষধ। এটি সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি সাধারণত দেহ অভ্যন্তরের ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারকে কমিয়ে আনে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের বিশেষ ভূমিকা রাখে। মূত্রনালীর সংক্রমণ, গনোরিয়া, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, হার ও চামড়ার সংক্রমণ, সাইনাস, নিউমোনিয়া এবং সেফটিসেমিয়া বা রক্তের ইনফেকশন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর ডোজ

আপনি যে ধরনের ঔষধি সেবন করেন না কেন অবশ্যই আপনাকে ডোজ পরিপূর্ণ করে খেতে হবে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর ডোজ পরিপূর্ণ সেবন না করে যদি আপনি মাঝখানে বাদ দিয়ে দেন তাহলে আপনার সাময়িক রোগ ভালো হলেও পরিপূর্ণভাবে ভালো নাও হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার যে কয়েক দিনের ডোজ দিবে অবশ্যই আপনাকে সেগুলো পরিপূর্ণ ভাবে খেতে হবে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন 500 এর ডোজ পরিপূর্ণ খাওয়ার ফলে আপনার রোগ ইনশাল্লাহ ভালো হয়ে যাবে। সংক্রমণের ধরন, তীব্রতা, রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংবেদনশীলতা,রোগীর ওজ্‌ন, রোগীর বয়স ও বৃক্কের কার্যকারিতার ওপর নির্ভর করে সাধারণত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর নির্ধারিত মাত্রা নির্ধারণ করে।

প্রাপ্তবয়স্ক

তো বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণত সিপ্রোফ্লাক্সোসিন ঔষধ সেবনের মাত্রা ১০০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার।নিম্ন ও ঊর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনের তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার।স্টেপটোকক্কাস দ্বারা সংক্রমণিত নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার করে পরামর্শ দেওয়া হয়।গনোরিয়া চিকিৎসায় ২৫০ বা ৫০০ মিলিগ্রাম একক মাত্রায় দৈনিক দুইবার দেওয়া হয়।

সিস্টিক ফাইব্রোসিস

সিডোমোনাস দ্বারা সংক্রমিত নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণের জন্য ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার সিপ্রোফ্লক্সাসিন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে রোগীদের দৈহিক ওজনের কথা বিবেচনা করা হয়।

বৃক্কীয় কার্যকারিতা

বিক্রিও কার্যকারী তার অপ্রতুলতা ব্যতীত মাত্রা পুনঃনির্ধারণের তেমন কোন প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন হয় তবে ওষুধের মাত্রার অর্ধেক করার মাধ্যমেই ঔষধের সেরামলেবল পর্যবেক্ষণ করা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।

বৃদ্ধ

যদিও এসব রোগীদের সেরামে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অধিকতর পরিমাণে উপস্থিত থাকে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত মাত্রার কোন প্রয়োজন নেই।

শিশু ও কিশোর

এন্টিবায়োটিক গ্রুপের অন্যান্য ঔষধের মতো ওই সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও অপরিচিত বয়সে দেওয়া একদমই উচিত নয়। এটি অপরিণীত জীবের ক্ষেত্রে ভয়াবহকারী অস্থি সন্ধিতে অর্থোপেডিক সৃষ্টি করতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা এখনো জানা যায়নি তা সত্ত্বেও শিশু, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশজ্ঞ নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ডাক্তার এই গ্রুপের শিশুদের জন্য ব্যবহার উপযোগী এমন ধরনের ঔষধ সাজেস্ট করতে পারেন।

সিপ্রোফ্লাক্সোসিন কতদিন খেতে হয়

আপনি যখন সিপ্রোফ্লাক্সোসিন ওষুধ সেবন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে সিপ্রোফ্লাক্সোসিন কতদিন খেতে হয়। কতদিন খেতে হবে এটা যদি আপনি না জানেন তাহলে আপনি সঠিক পরিমাপ বুঝতে পারবেন না। তাই অবশ্যই সিপ্রোফ্লাক্সোসিন ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিপ্রোফ্লাক্সোসিন কতদিন খেতে হয় জেনে নিতে হবে।

চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল সংক্রমণজনিত সমস্যা ও ব্যাকটেরিয়া লজিক্যাল পরীক্ষা লব্ধ ফলের ওপর নির্ভর করে। মাত্র অতিরিক্ত সংক্রমনের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসার মেয়াদকাল সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন হয়ে থাকে। সংক্রমনের চিহ্ন বা লক্ষণ দূর হওয়ার পরও আরো তিন দিন সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত। বিভিন্ন কারণে ওষুধের তারতম হতে পারে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহণ করুন এবং আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ

সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ শুধুমাত্র তারাই ব্যবহার করে থাকে যারা ট্যাবলেট ওষুধ খেতে পারে না। সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়। সিপ্রোফ্লাক্সোসিন সিরাপ বা সাসপেনশন বা পাউডার ফর সাস্পেনশনাল শুধুমাত্র মুখের খাবার জন্য ব্যবহার করা হয়। ঔষধ খাওয়ার পূর্বে ঔষধের বোতলটি কয়েকবার ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন এরপর বোটলের সাথে দেওয়া কাপ বা চামচের সাহায্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঔষধ মেপে গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে আপনার ডাক্তার যেভাবে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই ব্যবহার করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত বেশি বা কম পরিমাণে ব্যবহার করবেন না।
সাসপেনশন তৈরির জন্য পাউডার যুক্ত বোতলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফুটন্ত ঠান্ডা পানি বোতলের দিন। এবার ভালো করে ঝাঁকিয়ে সাসপেনশন তৈরি করুন। সাসপেনশন তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে নির্দিষ্ট আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে ঠান্ডা স্থানে রাখুন। প্রত্যেকবার খাবারের পূর্বে অবশ্যই বোতলটি ঝাঁকিয়ে নিবেন। সিপ্রোফ্লক্সোসিন এর অন্যান্য ফরম এর মতোই এর কাজের ধরন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডোজ, ওভারডোজ, সর্তকতা গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভেট এর কাজ

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভেট এর কাজ কি অবশ্যই জেনে রাখতে হবে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভেট এর মূল কাজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি চাইলে এই পর্বের মাধ্যমে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভেটের পরিপূর্ণ কাজ এবং সিপ্রোফ্লক্সাসিন সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভেট এর কাজ নিচে দেওয়া হলো। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ভ্যাট হলো গবাদি পশু, হাঁস মুরগি ও কবুতর এর জন্য শক্তিশালী একটি অ্যান্টিবায়োটিক। এটি মূলত ভেটেনারি বিভাগ থেকে বাজারজাত ও উৎপাদন করা হয়ে থাকে। পল্টি বা গবাদি পশুর জন্য এটি ইনজেকশন ও ট্যাবলেট আকারে বাজারে পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভেদ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন কাদেরকে দেওয়া যাবেনা

সিপ্রোফ্লক্সাসিন কাদেরকে দেওয়া যাবেনা এবং তাদের দেওয়া যাবে তার নিজেই দেখে নিন। সবাইকে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ঔষধ ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। কারা এই ওষুধটি সেবন করতে পারবেন এবং কোন ধরনের মানুষ এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন না সেগুলো জেনে নিন। সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং অন্যান্য কুইনোলন জাতীয় গ্রুপের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হলে এ জাতীয় ঔষধ দেওয়া যাবে না। শিশু ও কিশোরদের এবং গর্ভবতী মায়েদের এজাতীয় ঔষধ দেওয়া যাবে না।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সব ধরনের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যতিক্রম নয়। সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিম্নে দেওয়া হল। প্রত্যেক ঔষধের উপকারী দিক থাকার পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সিপ্রোফ্লক্সেসিন এর ও তেমন কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো হল-
  • বমি বমি ভাব/বমি
  • এলার্জি
  • পরিপাকতন্ত্রের অসুবিধা 
  • মাথাব্যথা
  • মাথা ঝিমঝিম করা
  • গায়ে ফুসকুড়ি
  • ক্রিস্টাল ইউরিয়া
  • ডায়রিয়া
  • খাবারে অরুচি
  • পেটে ব্যথা

গর্ভকালীন সময়ে কি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা যাবে

বলা হয়ে থাকে যে গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের জন্য সব থেকে একটি কঠিন সময়। এই সময়টুকু অনেক সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই এই সময়ে আপনি যে ওষুধে সেবন করেন না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ এবং সতর্কতার সাথে ওষুধ সেবন করতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে কি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা যাবে নাকি যাবে না তাই নেই এই পর্বটি। গর্ভকালীন সময়ে কি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা যাবে সেই সম্পর্কে নিয়ে এসে আলোচনা করা হলো।গর্ভ অবস্থায় ও দুধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহার করা যাবে না। 

সিপ্রোফ্লক্সেসিন এর ওভারডোজ এ করণীয়

আপনি যদি মনে করেন যে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেছেন তবে জরুরী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অথবা হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক লেভেজের মাধ্যমে পেট খালি করা হয়। রোগীকে সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং লক্ষণমূলক এবং সহায়ক চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

সতর্কতাঃ

যেসব রোগীদের বৃক্কের কার্যক্ষমতা মারাত্মক সমস্যা রয়েছে শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই মাত্রা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও এই জাতীয় এন্টিবায়োটিক সমূহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। শিশু কিশোর, গর্ভবতী মা এবং মাতৃদুগ্ধ দানকারী মায়ের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় না।

শেষ কথা

এই পর্বে সিপ্রোফ্লক্সিন ৫০০ এমজি ওষুধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ওষুধ সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি উক্ত ওষুধ সম্পর্কে কোন ধারণা থেকে থাকে তবে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং এই পর্বটি শেয়ার করে আপনার পরিচিতদের জানার সুযোগ করে দিবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url