শবে বরাত ২০২৪-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আপনি কি শবে বরাত ২০২৪-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আমাদের আজকের এই পর্বটি শবে বরাত ২০২৪-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।শবে বরাত ২০২৪-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শবে বরাত ২০২৪-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

পোস্ট সূচিপত্রঃ শবে বরাত ২০২৪-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

  • শবে বরাত ২০২৪ 
  • শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
  • শবে বরাতের ফজিলত
  • শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
  • শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
  • শবে বরাতের নামাজের নিয়ত
  • শবে বরাতের আমল
  • শবে বরাত কত তারিখে ২০২৪
  • শবে বরাতের রোজা কয়টি
  • শবে বরাতের দোয়া
  • শেষ কথা

শবে বরাত ২০২৪ 

শবেবরাত বা মধ্য শা'বান বা লাইলাতুল বরাত হলো হিজরী সাবান মাসের মধ্যবতী রাত অর্থাৎ 14 ও 15 তারিখের রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। ইসলাম ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস মতে এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করে দেয়। মুসলমানদের বিশ্বাস মতে শবে বরাতের এক রাতের ইবাদত 80 বছর ইবাদতের সমতুল্য। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানগন নফল ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাতের রাত পালন করে। আবারো অনেক এলাকায় শবেবরাতের রাতে পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া হয়। তবে বারোসিয়া মুসলিমরা এই রাতে মুহাম্মদ আল মাহাদীর জন্মদিন উদযাপন করে। কিন্তু সালাফিরা বারোসিয়া মুসলিমদের এ কাজের বিরোধিতা করেন। শবে বরাত ২০২৪ উদযাপিত হবে ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে। তবে তা সম্পূর্ণভাবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবেবরাত মুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মহিমান্বিত একটি রাত। এ রাতে মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁর অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা করে দেন এবং রিজিক বৃদ্ধি করেন। এই কারণে আরবিতে লাইলাতুল বরাত বা মুক্তির রজনী হিসেবে শবে বরাত কে বলা হয়। হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) শবে বরাতের রাত সম্পর্কে বলেছেন,
" এই রাতে এবাদতকারীদের গুনাহ রাশি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী, সুদখোর, গনক, জাদুকর, জিনাকারী, কৃপণ, শরাবি এবং পিতা-মাতাকে কষ্ট দানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।"

শবে বরাতের নামাজ ও নিয়ম কানুন

আমরা ইতিপূর্বেই জেনেছি শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। আপনি যত ইচ্ছা নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যান্য নামাজে যেভাবে নফল নামাজ আদায় করেন ঠিক সেভাবেই শবে বরাতের রাতেও নফল নামাজ আদায় করতে হবে। দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হয়। যে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবে তার সওয়াব তত বেশি হবে। তবে প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সঙ্গে সূরা এখলাছ, সূরা কদর এবং আয়তাল কুরছি মিলিয়ে পাঠ করলে অত্যন্ত সওয়াব পাওয়া যায়।
শবে বরাতের নামাজ সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-সাবান মাসের মধ্য তারিখে দিবাগত রাত্রে নফল ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে(ইবনে মাজাহ)
ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো নামাজ।হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে,
"যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর ছয় রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে এবং এসবের মধ্যে কোন মন্দ কথা না বলে তাহলে এই নামাজ 12 বছরের ইবাদতের সমতুল্য গণ্য হবে"
হযরত আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে,
"যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর ২০ রাকাত নামাজ আদায় করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন"(তিরমিজি, মিশকাত)
এ রাতে শ্রেষ্ঠতম ইবাদত হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। এছাড়াও আপনি সালাতুল তাজবি এবং অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা শবে বরাতের নফল দুই রাকাত নামাজের বিবরণ উল্লেখ করছি। একই নিয়মে আপনারা একাধিকবার নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। নিচে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করার নিয়ম উল্লেখ করা হলো-
  • পরিষ্কার কাপড় পড়ে ওযু করে নিতে হবে
  • জায়নামাজে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হতে হবে
  • শবে বরাতে দুই রাকাত নামাজের নিয় ত করে নিতে হবে
  • নিয়ত শেষে আল্লাহু আকবার বলে ছানা, সুরা ফাতিহা এবং এর সাথে সূরা ইখলাস সূরা কদর আয়তাল কুরসি ইত্যাদি মিলিয়ে পড়তে হবে।
  • অন্যান্য নফল নামাজের মতই রুকু ও সিজদা দিতে হবে
  • প্রথম রাকাতের মত একইভাবে দ্বিতীয় রাকাত নামাজ পড়তে হবে
  • দ্বিতীয় রাকাতে সিজদা করার পর আত্তাহিয়াতু, দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করতে হবে।
  • এবার সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত শেষ করতে হবে।
একই নিয়মে আপনারা শবেবরাতের নফল নামাজ যত খুশি তত রাকাত পড়তে পারবেন।

শবে বরাতের ফজিলত

লাইলাতুন মিন নিসফি সাবান" হল শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রি। মুসলিম উম্মত এর কাছে এর রাত শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতের গুরুত্ব ও মহিমা অপরিসীম। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। হাদিস মোতাবেক সঠিকভাবে শাবান মাসের মধ্য রজনীতে ইবাদত বন্দেগীতে নিজেকে নিয়োজিত করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।
শবে বরাতের ফজিলত
"হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল(রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা'আলা অর্ধ সাবানের রাতে সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।"

শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস

শবেবরাত সম্পর্কে বিশুদ্ধ ও ছয়টি হাদিস গ্রন্থের হাদিসে এই বিশেষত্ব রাতের নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেকটি হাদিসে আলাদা আলাদা ভাবে এর বিশেষত্ব উল্লেখ এর মাধ্যমে এ রাতের মর্যাদা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত হল শা'বান মাসের মধুমতি রজনী। যা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য তাদের ভুল কাজের ক্ষমা চাওয়ার এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার জন্য একটি রাত। যে রাতটি এক বছর পর পর আসে। শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস গুলো জেনে নিন।
১।একটি হাদিসে বলা হয়েছে,
"রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বলেন, আল্লাহ মধু শাবানের রাতে আত্মপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তার সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।"(ইবনু মজাহ, আস-সুনান ১/৪৪৫;বাযযার,আল-মুসনাদ ১/১৫৭,২০৭,৭/১৮৬)
বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,রাসুলাল্লাহ(সাঃ) শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা পালন করতেন। শাবান মাসের রোজা ছিল তার কাছে অত্যান্ত প্রিয়।রাসুলাল্লাহ(সাঃ) কখনো কখনো শাবান মাসের এক থেকে 15 তারিখ পর্যন্ত আবার কখনো প্রায় পুরো মাসই নফল রোজা পালন করতেন।
২।এ বিষয়েরাসুলাল্লাহ(সাঃ) বলেন,
"এ মাসে রাব্বুল আলামিনের কাছে মানুষের কর্ম উঠানো হয়। আর আমি ভালোবাসি যে, আমার রোজা রাখা অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক।"(নাসাঈ,আস-সানান ৪/২০১;আলবানী,সহীহুত তারগীব ১/২৪৭)
হাদিস অনুসারে, শাবান মাসের মধ্যে ও রজনী হল আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং চাওয়ার রাত।
৩।হাদিস অনুসারে,
অর্থঃ" আলী ইবনে আবু তালেব(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলাল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, যখন মধ্য সাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে সালাত আদায় করবে আর দিবসে সিয়াম পালন করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন; আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনা কারি আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিজিক প্রার্থনা করি আমি রিজিক দান করব। আছে কি কোন বিপদে নিপতিত ব্যক্তি আমি তাকে সুস্থতা দান করবো। এভাবে ফরজ পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে।(ইবনে মাজাহ ও বাইহাকী)"
৪।আবু হুরায়রা বর্ণিত বুখারী ও মুসলিম হাদিসের বক্তব্য হল-আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ অংশে দুনিয়ার আসমানে আসেন। আর প্রতি রাতের মধ্যে শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতও অন্তর্ভুক্ত অতএব এই হাদিস মতে অন্যান্য রাতের মত সাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহর পৃথিবীর আসমানে আসেন।

শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

আমরা সকলেই এ বিষয়ে অবগত যে শবেবরাতের রাতে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে কাটাতে হয়। আল্লাহর ইবাদতের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো নামাজ। শবে বরাতের রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। এ রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের পাপ কাজের জন্য ক্ষমা করে দেন। যেহেতু শবে বরাতের নামাজ হলো নফল নামাজ সেহেতু শবে বরাতের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে শুধু নামাজই নয় এর সাথে অন্যান্য ইবাদত করতে পারেন।
কিছু ইসলামিক বইয়ে পাওয়া যায়ঃ
শবে বরাতের নামাজ ১২ রাকাত থেকে শুরু করে ১০০ রাকাত পর্যন্তও করা যায়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করে চার রাকাতে সালাম ফেরাতে হয়। এভাবে প্রত্যেক চার রাকাতে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করা উত্তম।
রাসুল(সাঃ) বলেছেন,
" তোমরা সাবানের মধ্য দিবস অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্য তারিখ রাতে নফল ইবাদত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে"(ইবনে মাজাহ)
হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে,
"যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর ছয় রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে এবং এসবের মধ্যে কোন মন্দ কথা না বলে তাহলে এই নামাজ 12 বছরের ইবাদতের সমতুল্য গণ্য হবে"
হযরত আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে,
"যে ব্যাক্তি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর ২০ রাকাত নামাজ আদায় করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন"(তিরমিজি, মিশকাত)
শবে বরাতের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হয়। তবে যে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবে তার তত বেশি সওয়াব হবে। শবে বরাতের নফল নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং এর সাথে সূরা ইখলাস, সূরা কদর, আয়তাল কুরছি বা সুরা তাকাসুর মিলিয়ে পড়তে হয় তাহলে অধিক পরিমাণে সওয়াব পাওয়া যায়।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত হলোঃ
" নাওয়াই তুয়ান উছল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা বাকআতাই ছালাতি লাইলাতিল বারা-তিন নাফসি,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লা-হু আকবর"
বাংলা অর্থঃ
" শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবার"

শবে বরাতের আমল

শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী। অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এই রাতের আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবং পূর্বপাশ থেকে মুক্তির আসায় ইসলাম ধর্মপ্রেমী মানুষগণ আল্লাহর সেবায় মননিবেশ করেন। শবে বরাতের ইবাদত হল নফল ইবাদত। এই রাতের নির্দিষ্ট কোন ইবাদত বা আমল নেই। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিশেষ কিছু আমল করা যায়। যেমন নফল নামাজ আদায় করা। বেশি বেশি পরিমাণ নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। তবে যদি মসজিদে জামাতের সঙ্গে আপনি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন তবে তা আরো উত্তম। এছাড়াও নিজ ঘরে একাকী নামাজ পড়তে পারেন। বিভিন্ন হাদিসে এ বিষয়ে রয়েছে, দীর্ঘ নামায পড়া, সিজদা দীর্ঘায়িত করা, দোয়া ইস্তেগফার, কোরআন তেলাওয়াত করা এবং আল্লাহর জিকির করা।

শবে বরাত কত তারিখে ২০২৪

শবে বরাত ২০২৪ পালিতে হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪রোজ রবিবার রাতে। পরের দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার শবে বরাতের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে। তবে শবে বরাত এর বিষয়টি চাঁদ দেখার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।

শবে বরাতের রোজা কয়টি

হাদিজ শরীফে এসেছে,রাসুল(সাঃ) বলেছেন, তোমরা রাতে ইবাদত কর এবং দিনে রোজা পালন করো। তাহলে শবে বরাতের রোজা একটি ও রাখা যায়। তবে বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, রাসূল(সাঃ) কখনো কখনো সাবান মাসের পুরো মাসি রোজা রাখতেন বা সাবান মাসের ১৩ ১৪ ১৫ তারিখ রোজা রাখতেন। তিনটি রোজা রাখার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছেন।
শবে বরাতের দোয়া
আরবি সাবান মাসের 14 তারিখ দিবাগত রাত হল লাইলাতুম মিন নিসফা সাবান বা লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নামে পরিচিত। মুসলমানদের জন্য এই রাতটি অত্যান্ত ফজিলত পূর্ণ। আল্লাহ এই রাতের দোয়া ফেরত দেন না। তাই অন্যান্য রাতের তুলনায় এই রাতের গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য অত্যন্ত বেশি। শবে বরাতের রাতে বান্দার দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় যে দোয়াটি বারবার পড়া উচিত সেটি হল-
উচ্চারণঃ-
"আল্লাহুমাগফিরলি জামবি, ওয়া ওয়াস সিলি ফি দারি, ওয়া বারিক লী রিজকি"
অর্থঃ-হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দাও। আমার জন্য আমার বাসস্থান প্রশস্ত করে দাও। এবং আমার রিজিকে বরকত দিয়ে দাও।

শেষ কথা

উপরের আলোচনা অনুযায়ী আপনি নিশ্চয়ই শবে বরাতের নামাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বে কোনো মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url