আইটি ব্যবসার ধারণা ও সফল হওয়ার কৌশল

বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় এবং পরিচিত একটি ব্যবসা হচ্ছে আইটি ব্যবসা। তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যবসাতে অনেকেই সফল হয়েছেন আবার অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আইডি ব্যবসা করতে হলে সর্ব প্রথমে আপনাকে আইটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং পরিচালনা করার কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে। আইটি ব্যবসা করার জন্য সবথেকে ভালো হবে দুই তিনজন বন্ধু মিলে এই বিজনেস টি শুরু করলে। আইটি ব্যবসার ধারণা এবং আইটি ব্যবসার সফল হওয়ার কৌশল সম্পর্কে নিচে আরো ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আইটি ব্যবসার ধারণা ও সফল হওয়ার কৌশল
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে তুলনায় বাংলাদেশেও প্রযুক্তি চলেছে দ্রুত গতিতে। এই প্রতিযোগিতার যুগে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার নির্দিষ্ট টার্গেট এবং লক্ষ্য ও মার্কেট শনাক্ত করে এবং প্রতিযোগিতা নিয়ে গবেষণা করে আগাতে হবে। এই পর্বে আইটি ব্যবসায়ী সফল হওয়ার কৌশল গুলো এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

সূচিপত্রঃ কিভাবে আইটি ব্যবসা শুরু করবেন এবং সফল হওয়ার কৌশল

  • কিভাবে আইটি ব্যবসা শুরু করবেন
  • আইটি ব্যবসায় সফল হওয়ার ১০টি কৌশল
  • ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন এবং অফলাইন

কিভাবে আইটি ব্যবসা শুরু করবেন

বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় এবং লাভ জনকদের মধ্যে আইটি ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির উপরে মানুষের চাহিদা আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে সকল কিছুই করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনি ভোক্তার চাহিদা পূরণ করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। প্রথম দিকে কিভাবে আইটি ব্যবসা শুরু করবেন সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
  • মার্কেটে প্রতিযোগিতা নিয়ে গবেষণা করতে হবেঃ ব্যবসা শুরু করার আগে প্রথমেই আপনাকে টার্গেট করতে হবে এবং শনাক্ত করতে হবে ও আপনার প্রতিযোগিতা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। বাজারে এখন পর্যন্ত যেগুলোর প্রতিযোগিতা কম সেগুলো সন্ধান করে বের করতে হবে এবং আপনি যদি ভোক্তার সেই চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময় আপনি মার্কেট পাবেন। চিন্তা-ভাবনা সবসময় নতুনত্ব করতে হবে যা অন্যরা এখন পর্যন্ত করেনি অথবা প্রতিযোগিতা বাজারে অনেক কম।
  • ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবেঃ মার্কেটে টার্গেট এবং প্রতিযোগিতা চিহ্নিত করার পর একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে যা ব্যবসার লক্ষ্য মার্কেটিংয়ের কৌশল, ট্যাক্সের পরিমাণ ও কিভাবে বাজেট ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার একটি ধারণা নিতে হবে।
  • বিজনেসের আইনের কাঠামো ঠিক করতে হবেঃ ব্যবসার লক্ষ্য ও অবস্থানের আইনের প্রয়োজনীয়তা এর ওপরে নির্ভর করবে আপনি একটি একক মালিকানা, অংশীদারিত্ব অথবা কর্পোরেশন হিসেবে নিবন্ধন করতে বেছে নিতে পারেন।
  • ব্যবসার নিবন্ধনঃ নিজের অবস্থানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে ব্যবসা নিবন্ধন করতে হবে। যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় ট্রেড লাইসেন্স ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন, এবং পারমিট পাওয়া অন্তর্ভুক্ত।
  • প্রয়োজনীয় সরঞ্জামঃ একটি আইটির ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর পূর্বে অবশ্যই আপনার সেই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো ক্রয় করতে হবে। যেমন কম্পিউটার, সফটওয়্যার ও অফিস সরঞ্জাম এর মত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো বিনিয়োগ করতে হবে।
  • কর্মচারী নিয়োগঃ ব্যবসা চালানোর জন্য বা আপনাকে সাহায্য করার জন্য কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। ব্যবসা লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ এবং অভিজ্ঞ সম্পন্ন কর্মীদের সন্ধান করে নিয়োগ দিতে হবে।
  • বেশি বেশি মার্কেটিং করাঃ কথায় রয়েছে প্রচারে প্রসার ঘটে। ব্যবসার প্রচার যত বেশি হবে আপনার ব্যবসা ঠিক ততটাই সামনের দিকে আগাবে। ব্যবসার প্রচারের জন্য মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, নেটওয়ার্কিং অথবা প্রথাগত মার্কেটিং যেমন প্রিন্ট বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

আইটি ব্যবসায় সফল হওয়ার ১০টি কৌশল

আইটি সেন্টার দিয়ে অথবা আইটি ব্যবসা করেও বা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন শুধুমাত্র প্রয়োজন আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সফল হওয়ার মানসিকতা। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে আইডি ব্যবসায়ী সফল হওয়া যায় এবং আইটি ব্যবসায় সফল হওয়ার ১০টি কৌশল সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে অনেকেই এই ব্যবসায়ী সফল হয়েছেন এবং নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আইটি ব্যবসায়ী যেভাবে আপনি সফল হতে পারবেন সেগুলো হলোঃ
  • অভিজ্ঞতা অর্জন করে ব্যবসা শুরু করাঃ যে কোন ধরনের বেচ্ছা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যবসার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে সঠিকভাবে জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি যদি কিছু না জেনে হুট করে ব্যবসা শুরু করতে শুরু করেন সেটা সম্পূর্ণ বোকামি হবে। অনেকেই মনে করে যে আমাদের আশেপাশের সকলেই আইটি ব্যবসা প্রচুর পরিমাণে লাভ করছে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে সেজন্য তারাও এই ব্যবসায়ী ঢুকে পড়ে। শেষমেশ আইটি প্রোডাক্ট সার্ভিস এবং টেকনোলজির সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে একসময় ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়। উদ্যোক্ত হওয়ার পূর্বে অবশ্যই স্বপ্ন অর্থ এবং দক্ষ ও সেই ব্যবসার প্রতি সঠিক ধারণা থাকতে হবে এবং জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
  • সঠিক নির্দিষ্ট ভীশণ ও মিশন স্টেটমেন্টঃ অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো থিওরিটিকাল বিভিন্ন ভীষণ মিশন লিখলেও তারা মূল অর্থ উপার্জনকে মূল্যায়ন বেশি করে। তবে এই সব ধরনের কোম্পানিগুলো বেশি দিন মার্কেটে টিকে না। যেসব কোম্পানিগুলো সত্তিকারের ব্যবসা করতে চাই অথবা সত্যিকারের সফল তারাই হয়েছে যারা মানুষকে সেবা দিতে চেয়েছে। ব্যবসা শুরু করে শুধুমাত্র যে টাকা উপার্জন করবেন এমন চিন্তা ভাবনা থাকলে আপনি বেশি দিন টিকতে পারবেন না। তাই অবশ্যই মানুষকে সেবা প্রদান করতে হবে এবং সেই সঙ্গে টাকা উপার্জন করতে হবে।
  • ট্রেন্ডিং থাকা প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস প্রদান করাঃ বর্তমানে কোন সেবাটি এবং কোন প্রোডাক্টটি বাজারে বেশি ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে সেই সেবা বা প্রোডাক্ট আপনাকে নিয়ে আসতে হবে। কেননা কোন কোম্পানি এখন পর্যন্ত একই প্রোডাক্ট বা সেবা দিয়ে ব্যবসা করতে পারেনি। একটা সময় পরে সেই সেবা বা প্রোডাক্টকে নতুনত্ব করার প্রয়োজন হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভোক্তা এবং ক্রেতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস চালু করতে হবে।
  • জনবল ভিত্তিক সার্ভিস প্রদানঃ শুধুমাত্র যে ওয়েবসাইট সফটওয়্যার অথবা অ্যাপ বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেবা লোক বল ভিত্তিক দিয়ে বড় কোম্পানি তৈরি করা সম্ভব এমন কিন্তু নয়। যত আমরা সামনের দিকে আগাচ্ছি ততই বরফ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়েবসাইট সফটওয়্যার বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজেদের টিম তৈরি করে নিচ্ছে। আপনার দেশে প্রতিষ্ঠান দীর্ঘস্থায় এবং বড় করতে হলে অবশ্যই সার্ভিস প্রদান ওয়েবসাইট মোবাইল অ্যাপ বা ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম তৈরির দিকে ঝুঁকতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে আপনাকে প্রচার করতে হবে এবং জনবল তৈরি করতে হবে, প্রয়োজন হলে গ্রুপ ভিত্তিক কাজ করতে হবে।
  • কাস্টমার হতে প্রজেক্ট নিয়ে প্রজেক্ট এর টাইম এবং বাজেট কমিয়ে ফেলাঃ স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলো মনে করে কাস্টমারকে কম বাজেটে ওট কম টাইম বললে সে খুশি হয়ে প্রজেক্ট দিয়ে দিবে। এমন চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুন কোম্পানির শুরুতেই ক্লায়েন্টের থেকে কম বাজেট এবং কম টাইম কখনই চাওয়া উচিত নই। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে সীমিত লোক বল দিয়ে এবং দ্রুত প্রজেক্ট শেষ করার জন্য আপনি দ্রুত কাজ করছেন এক্ষেত্রে কোয়ালিটি মিট করা সম্ভব হয় না। আর আপনার যদি কোয়ালিটি ভালো না হয় তাহলে পরবর্তীতে আপনি কাজ পাবেন না। এমন করে আপনি হয়তো প্রজেক্ট পাবেন কিন্তু সেটি হয়তো আপনার ওই ক্লায়েন্টের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত হতে পারে। কম বাজেট এবং কম সময় আপনার হাতিয়ার না বানিয়ে কোয়ালিটি ভালো করুন এবং সঠিক সময় ডেলিভারি দেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পুনরায় কাজ দেবে।
  • প্রজেক্ট হস্তান্তরের পর সেবা সঠিক দেওয়াঃ এমন অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে যে কোম্পানিগুলো প্রোডাক্ট বা প্রজেক্ট ডেলিভারি দেওয়ার পরে পরবর্তী সেবা এমনকি যোগাযোগ পর্যন্ত রাখেনা। ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই মনে রাখবেন ফিরতি কাস্টমারের প্রতি খেয়াল রাখা অনেক জরুরী। এর কারণ হলো ফিরতি গ্রাহক পাওয়ার সুবিধার আইটি সেক্টরে অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি ঠিকমতো যোগাযোগ না রাখেন তাহলে কোম্পানির উপর বা একটি আইটি সেন্টার এর উপর কাস্টমারের রাস্তা উঠে যাবে যা ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব ক্ষতিকর।
  • নিয়ন্ত্রণে খরচ করাঃ অনেক আইডি সেন্টার রয়েছে বা কোম্পানির রয়েছে যেগুলো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে বাড়তি খরচ করে। যা পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ক্ষতি হয়ে যায়। যে কোন খরচ করার পূর্বে অবশ্যই সেই খরচের প্রয়োজনীয় এনালাইসিস বা প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে খরচ করা জরুরী। খরচের পরিমাণটা যদি আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তাহলে কোম্পানির অর্থের চাপে পড়ে যায় অথবা বেশি খরচ করার কারণে কোম্পানি বা আইটি সেন্টার ক্ষতির দিকে চলে যায়।
  • কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধাঃ আপনি যে কোম্পানি দিন না কেন অথবা যে আইটি সেন্টারে চালু করেন না কেন সেই কোম্পানির মূল পরিবাহক থাকে কর্মচারী। যার কারণে কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। অনেক কোম্পানি বা আইটি সেন্টার গুলো রয়েছে যেগুলো জমকালো অফিস এবং ডেকোরেশন করে থাকে অথচ অফিসের কর্মচারীদের বেতন এবং সুবিধার কথা চিন্তা করে না। কোম্পানিকে আগানোর জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে সেই কোম্পানির কর্মরত কর্মচারীরা।
  • নির্ভরশীলতাকে বন্টন করাঃ আপনি যদি আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো কিছু সংখ্যক মাত্র কর্মচারী করে এবং সেই মানুষগুলোর কোন বিকল্প নেই তাহলে বুঝবেন আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ তার মধ্যে রয়েছে। যার কারণ হলো এই বিশেষ মানুষগুলো যদি আপনার কোম্পানি ছেড়ে চলে যায় অথবা কিছুদিনের জন্য যদি না থাকে তাহলে দেখবেন কোম্পানির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই পূর্ব থেকেই নির্ভরশীলতা ও দায়িত্ব কে সঠিকভাবে সবার মধ্যে বন্টন করে দিতে হবে এবং সেই বিশেষ মানুষগুলোর ব্যাকআপ হিসেবে রাখতে হবে।
  • সঠিক ম্যানেজমেন্টঃ একটি কোম্পানিতে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কে কখন কিভাবে কি কাজ করবে এবং কোন কাজের পরে কোন কাজটি করতে হবে এবং কোন কাজের ডেলিভারি দিতে হবে এই ব্যাপারগুলো সঠিক করে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। আইটি সেন্টারের ক্ষেত্রে সার্ভিস ডেলিভারি জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং processor তৈরি করা এবং প্রজেক্ট ওর টাস্ক ম্যানেজমেন্ট এর জন্য সঠিক মডেল এবং টুল নির্ধারণ করা ও এসবের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা খুব জরুরী।
  • সঠিক মার্কেটিং স্টার্টেজি তৈরি করাঃ আপনি যত ভালো প্রোডাক্টটি তৈরি করুন না কেন অথবা আপনি যত ভালই সার্ভিস দেন না কেন আপনি যদি সেটি সবার মাঝে মার্কেটিং বা সেই সেবা সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতে না পারেন তাহলে আপনার সেলস অথবা সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট মানুষ অথবা সেই সেবাটি নিতে পারবেনা। আপনার সেবা অথবা প্রোডাক্ট সম্পর্কে মার্কেটে যদি আপনি মার্কেটিং করতে পারেন এবং মার্কেটিং স্টার্টেজি তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা ভালো হবে তাছাড়া টিকবে না। যেকোনো ভাবে আপনি মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক টুইটার ইউটিউব বিভিন্ন ভাবে আপনি মার্কেটিং করতে পারেন। এক কথায় আপনার টার্গেট থাকতে হবে আপনার কোম্পানির সেবা সম্পর্কে মানুষ যেন অবগত থাকে।
  • সহজেই দুর্বল না হয়ে পড়াঃ বাস্তবতায় দেখা গিয়েছে যে অনেক কোম্পানি ভালো ভালো কনসেপ্ট নিয়ে শুরু করার পরেও অনেক দ্রুত সেই ব্যবসা থেকে সরে এসেছে। যার মূল কারণ ধৈর্য না থাকা। প্রথম দিকে আপনার ব্যবসায়ী লাভ নাও হতে পারে সে ক্ষেত্রে ভেঙে না পড়ে অবশ্যই সেই ব্যবসাকে আরও আগানোর জন্য মোকাবেলা করতে হবে তবে আপনি সফলতা পাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন এবং অফলাইন

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন এবং অফলাইন ওয়েবসাইটের বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধাপ রয়েছে আপনি সেগুলোর মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট একটি দিয়েছে নিতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করায় সব থেকে ভালো। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কন্টেন্ট রাইটিং অথবা SEO কাজ জেনে থাকেন তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং কাজ শুরু করতে পারেন। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেগুলোর মধ্যে থেকে আপনি যেগুলোর উপর অভিজ্ঞ রয়েছেন সেগুলো শুরু করতে পারেন। যেমনঃ
  • হোস্টিং বিজনেসঃ হোস্টিং বিজনেস শুরু করার আগে মোটামুটি একটা রিসেলার হোস্টিং কিনে বিজনেস শুরু করতে পারেন। রিসেলার একাউন্ট কিনলে আপনি এখান থেকে সিপানেল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সুবিধা পাবেন।
  • Hosting এর দামঃ প্রাথমিকভাবে শুরু করার জন্য ৮-৯ হাজার টাকার মধ্যে একটা প্যাকেজ কিনে কাজ শুরু করতে পারেন। প্রতি জিবি হোস্টিং কিনতে পারবেন আপনি 550 থেকে 650 টাকার মধ্যে এবং সেগুলো আপনি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় প্রতি জিবি হোস্টিং বিক্রি করতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইট বিক্রিঃ আপনি নিজে যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে হোস্টিংয়ের পাশাপাশি ওয়েবসাইট সেল করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি পেইড থিম এবং ডমেন কিনলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। স্বল্প খরচে ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি বেশি টাকায় এই ওয়েবসাইটগুলো বিক্রি করতে পারবেন বিভিন্ন বিক্রেতার কাছে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url