শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি এবং ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের এই পর্বে থেকে। বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের যদি জ্বর বেশি ঘন ঘন আসে তাহলে টেনশনে পরিণত হয়ে যায়। ঘন ঘন জ্বর আসার কারণে জ্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের অসুখ তৈরি হতে পারে। তাই এই পর্বের মাধ্যমে আজকে জেনে নিন ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ এবং বাচ্চা শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি?
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়
আপনার যদি ঘন ঘন জ্বর আসে তাহলে সেটা কিসের লক্ষণ এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন। এই পর্বে আপনি আরো জানতে পারবেন শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের জ্বরের ঔষধ সম্পর্কে। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ২ বছরের বাচ্চার জ্বর হলে কি করনীয়।

সূচিপত্রঃ ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার জেনেনিন

  • শিশুর জ্বর হলে করণীয়
  • ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ
  • ঘন ঘন জ্বর কোন রোগের লক্ষণ
  • বার বার জ্বর আসার কারণ
  • বার বার জ্বর আসার কারণ
  • বার বার জ্বর আসার কারণ ও প্রতিকার
  • বড়দের বার বার জ্বর আসার কারণ
  • ঘন ঘন জ্বর হয় কোন ভিটামিনের অভাবে
  • শেষ কথা

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

শিশুদের যদি জ্বর আসে তাহলে আপনি কি করবেন অথবা শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি এই পর্বের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বড়দের চেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর হলে বেশি সেনসেটিভ বা সতর্ক থাকতে হয়। কেননা শিশুদের যদি জ্বর আসে এবং সেই সাথে যদি অন্য কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তারা বলতে পারেনা।
  • ম্যাক্সিমাম শিশু্র ঠান্ডা জনিত কারণে জ্বর হয়ে থাকে। তাই ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • একজন বাচ্চা বা শিশুর যদি জ্বর হয়ে থাকে তাহলে তাকে বেশি করে বিশ্রাম দিতে হবে।
  • আপনার বাচ্চার যদি বয়স পাঁচ থেকে আট বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে খেলাধুলা থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দিতে হবে।
  • যতটা সম্ভব প্রচুর পরিমাণে পানি এবং তরল খাবার দিতে হবে।
  • জুস অথবা ড্রিংসের বদলে খাবার স্যালাইন অথবা পরিস্কার ও শুদ্ধ পানি দিতে হবে।
  • শিশুকে উষ্ণ পানিতে গোসল করাতে হবে।
  • কোন ধরনের ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে

ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ

অনেকেই রয়েছে যাদের একবার জ্বর আসলে সহজেই ভালো হতে চায় না। অনেক সময় দেখা যায় যে একবার জ্বর ভালো হওয়ার পর আবার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জ্বর চলে আসে। এমন হলে আপনার শরীরে দ্বিতীয় আরেকটি রোগের দেখা মিলতে পারে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রকার virus, ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন পরজীবীর সংক্রমণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। অনেকেই এ জরকে পাত্তা দেয় না পরে শরীরে পানহাটি রোগ বাসা বাঁধে। যদি কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং জরুরী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ সেগুলো হলোঃ-
  • ক্যান্সার জাতীয় সমস্যা
  • ব্লাড ক্যান্সার
  • ইনফেকশন
  • ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ
  • এলার্জিজনিত সমস্যা
  • ঠান্ডা জনিত সমস্যা
  • হার্টের সমস্যা
  • কিডনিতে সমস্যা
  • মুত্রতন্ত্রতে সমস্যা
  • লিভারের সমস্যা। ইত্যাদি

ঘন ঘন জ্বর কোন রোগের লক্ষণ

ঘন ঘন জ্বর কোন রোগের লক্ষণ যদি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। ঘন ঘন জ্বর হওয়া খুব একটা সুবিধার লক্ষণ নয়। এ ধরনের জ্বর গুলো অনেক খারাপ হয়ে থাকে। একবার যদি কারও জ্বর হয়ে থাকে এবং সেটি যদি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই ধরনের জ্বর গুলো টাইফয়েড পরিণত হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকের একবার জ্বর ভালো হওয়ার পরে পুনরায় আবার জ্বর চলে আসে। এমন ধরনের সমস্যা কারো মধ্যে যদি বিদ্যমান থাকে তবে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ঘন ঘন জ্বর আসলে যে রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারেঃ-
  • ক্যান্সার জাতীয় সমস্যা
  • ব্লাড ক্যান্সার
  • ইনফেকশন
  • ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ
  • এলার্জিজনিত সমস্যা
  • ঠান্ডা জনিত সমস্যা
  • হার্টের সমস্যা
  • কিডনিতে সমস্যা
  • মুত্রতন্ত্রতে সমস্যা
  • লিভারের সমস্যা। ইত্যাদি

বার বার জ্বর আসার কারণ

বার বার জ্বর আসার কারণ বিভিন্ন হতে পারে। অনেক কারণে ঘন ঘন জ্বর আপনার শরীরে আসতে পারে। একজনের শরীরে যদি ভাইরাস সংক্রমণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তার একবার জ্বর আসার পর পুনরায় আবার জ্বর আসতে পারে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ইনফেকশন এর কারণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে. তবে এই জ্বরের পেছনে লুকিয়ে থাকে প্রাণ ঘাতি রোগ। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমণে জ্বর আসতে পারে। বার বার জ্বর আসার কারণ সমূহের মধ্যে রয়েছেঃ-
  • ফুসফুসের সংক্রমণ
  • সর্দি কাশি
  • অন্যান্য সংক্রমণ
  • রক্তস্বল্পতা
  • টিউমার
  • লো ইমিউনিটি
  • আবহাওয়া পরিবর্তন
  • ডেঙ্গু
  • টাইফয়েড
  • চিকেন পক্স
  • ম্যালেরিয়া
  • নিউমোনিয়া
  • ক্যান্সারজনিত সমস্যা। ইত্যাদি।

বার বার জ্বর আসার কারণ

শিশুদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কারণ একজন বাচ্চা শিশু যদি অন্য কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে বুঝতে পারে কিন্তু কাউকে বলতে পারেনা। আর এই সমস্যাগুলো থেকে আস্তে আস্তে জ্বরে পরিণত হতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বেশি যত্নশীল হতে হবে এবং ঘনঘন চেকআপ করাতে হবে যেন তাদের অন্য কোন রোগ না থেকে থাকে। শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • নিউমোনিয়া
  • এলার্জি
  • ফুসফুসের সমস্যা
  • জন্মগত কোনো সমস্যা
  • হার্টের ত্রুটি
  • লিভারের সমস্যা
  • রক্তের সমস্যা
  • কম ইমিউনিটি সমৃদ্ধ বাচ্চা
  • কম ওজনের বাচ্চা
  • প্রিম্যাচিউর বাচ্চা। ইত্যাদি

বার বার জ্বর আসার কারণ ও প্রতিকার

ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার গুলো যদি আপনি জেনে রাখেন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার অনেক উপকারে আসবে। ঘন জ্বর হওয়ার কারণ এবং প্রতিকার জানার ফলে আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে জ্বরের সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন। আমরা ইতিপূর্বেই ঘনঘন জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনেছি। চলুন এর প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।
  • সকল ধরনের ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করতে হবে
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও বাসস্থান
  • পরিমিত পরিমাণ ঘুমানো
  • সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
  • ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
  • ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ। ইত্যাদি।

বড়দের বার বার জ্বর আসার কারণ

বড়দের বার বার জ্বর আসার কারণ অনেক বেশি। কেননা ছোটদের থেকে বড়দের অস্বাস্থ্যকর চলাফেরা বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে বড়দের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর বেশি হয়।ঘনঘন জ্বর যেকোনো কারণেই আসতে পারে। তবে ঘন ঘন জ্বর আসা বিপদের লক্ষণ। যে সমস্ত কারণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে সেগুলো হলো-
  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
  • মূত্রতন্ত্রের জটিলতা
  • ব্রংকাইটিস
  • কিডনির সমস্যা
  • লিভারের সমস্যা
  • হার্টের ত্রুটি
  • ঠান্ডা জাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ
  • এলার্জিজনিত সমস্যা
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম করা
  • ধূমপান বা মধ্যপান
  • ফুসফুসের বিভিন্ন রকম রোগ
  • নিউমোনিয়া
  • ক্যান্সার। ইত্যাদি

ঘন ঘন জ্বর হয় কোন ভিটামিনের অভাবে

শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাঁটি দেখা দিলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান বিদ্যমান যা আমাদের দৈহিক এবং মানসিক চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে ভিটামিন ডি একটি অপরিহার্য উপাদান এটি শরীরের ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। আমাদের দেহের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত জরুরি। যদি আপনি কিছুদিন পরপর জ্বরে ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবনের পাশাপাশি ভিটামিন ডি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url