জবা ফুলের ১৫ টি উপকারিতা

মালভেসি গোত্রের গুণ্য জাতীয় উদ্ভিদের ফুল হল জবা। বাড়ির আঙিনায় কিংবা বনে জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির জবা ফুল দেখা যায়। হাইড্রোক্সি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। জবা ফুলের উপকারিতা রয়েছে আরো অনেক। জবা ফুল বিভিন্ন ঔষধি হিসেবে কাজ করে। জবা ফুলের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়েই এই পর্বটি সাজিয়েছি। জবা ফুল সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোকপাত করা হলো।
জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
জবা ফুল দেখতে সৌন্দর্য এবং সুগন্ধ ছড়ায়। এছাড়াও জবা ফুলের রয়েছে আলাদা একটি গুণ। জবা ফুল দিয়ে এখন বিভিন্ন ঔষধ তৈরির কাজে লাগে। জবা ফুল কে বিভিন্ন ওষুধ তৈরির কাঁচা উপাদান হিসেবে ধরা হয়। জবা ফুলের উপকারিতা এবং বিভিন্ন কার্যকারী সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা

  • জবা ফুলের বৈশিষ্ট্য
  • জবা ফুল নিয়ে ক্যাপশন গুলো
  • জবা ফুলের ইংরেজি নাম
  • জবা ফুলের উপকারিতা
  • জবা ফুলের অপকারিতা
  • চুলের যত্নে জবা ফুলের পণ্য
  • চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার
  • ত্বকের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার
  • রোগ নিরাময়ে জবা ফুলের ব্যবহার
  • লাল জবা ফুলের উপকারিতা
  • পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা
  • জবা ফুলের বিভিন্ন ব্যবহার
  • শেষ কথা

জবা ফুলের বৈশিষ্ট্য

জবা ফুলের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে আমরা আজকে আলোকপাত করবো। জবা ফুলের বৈশিষ্ট্য অনেকেই জানেনা। জবা ফুল রোসাইড বর্গের মালভেছিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। জবা ফুলের শ্রেণীঃ Magnoliopsida, এবং ক্রমঃ malvales, জবা ফুল একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। জবা মালভেসি গোত্রের চির সবুজ গুল্ম জাতীয় একটি উদ্ভিদ। জবা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হিবিস্কাস রোজা সিনান্সিস। 8 থেকে 16 ফিট বা তিন থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট। পাঁচটি যুক্ত উজ্জ্বল ও চকচকে বর্ণের ফুল দেখা যায়। বিশেষ করে শরৎকাল ও গ্রীষ্মকালে জবা ফুল বেশি দেখা যায়। আশা করি জবা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

জবা ফুল নিয়ে ক্যাপশন গুলো

জবা ফুলের গাছ হল একটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং সাধারণভাবে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। আপনি যদি জবা ফুল নিয়ে ক্যাপশন গুলো জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক জবা ফুল নিয়ে ক্যাপশন গুলো কেমন।
  • জবা ফুলের মধুর সুগন্ধে মন বোঝে আন্তরিক শান্তি।
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপহার জবা ফুলের আদর্শ শখের স্বাগতম
  • জবা ফুল এর মধুর সুগন্ধ জীবনের মন্ত্র এবং আনন্দ ও শান্তি সহায়ক।
  • স্বপ্নের একটি পুরনো গল্প ও জবাফুল প্রাকৃতিক আনন্দে পূর্ণ।
  • জবা ফুলের প্রেমের ভরা সুগন্ধ মনকে পুরস্কৃত করে নতুন ইমোশনাল হারমনি।
  • জবা ফুলের মধুর বাণী প্রাকৃতির সাথে সম্মেলনের সৃষ্টির শান্তি
  • সক্ষমতা ও সৌন্দর্যের সমন্বয়ে জবা ফুলের আদর্শ সান্দ্রতা
  • জবা ফুলের প্রকৃতিক সৌন্দর্যে আমি প্রেম এবং আনন্দ পায়
  • জবা ফুলের প্রতিযোগিতা নেই এটি সবাইকে বিশেষ বানিয়ে থাকে
  • জবা ফুলের সুগন্ধে আমার মন দিয়ে পুরনো স্মৃতিগুলোকে মনে করিয়ে তোলে।
  • জবা ফুল দেশে দেশে খেতে গেলে তার মধু শুধু একটি প্রাচীরে তারা প্রতিশ্রুত করে দেয়।
  • জবা ফুল একটি সুন্দর তম ফুল ও বাংলাদেশের অসীম সাধারণ জনগণের শক্তি দেখায়।
  • আমি জবা ফুলের সুগন্ধে মাতাল প্রাকৃতির আদর্শ আনন্দে আমাকে জড়িয়ে দেয়।
  • জবা ফুলের শীতল সুগন্ধ মন স্থির এবং শান্ত।
  • প্রাকৃতিক সুগন্ধ নিয়ে একটি প্রেম বাণী জবা ফুল আমার শান্তির বিনিময়।
  • জবা ফুলের মধুর সুগন্ধ আমার চোখের সামনে প্রাকৃতিক ছবি তৈরি করে দেয়।

জবা ফুলের ইংরেজি নাম

জবা ফুলের ইংরেজি নাম অনেকেই জানতে চায়? আপনিও যদি জবা ফুলের ইংরেজি নাম জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। জবা ফুলের সুন্দর রং এবং মধুর সুগন্ধ বৃদ্ধি করে দেয় ও প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অবদান রাখে। জবা ফুলের পরিচয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুসরণীয় এবং সৃষ্টিশীলতার স্তরে আপনার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। জবা ফুল বস্তুটি মধুর সুগন্ধ এবং সুন্দর রংয়ের এক ফুল। বাংলাদেশের প্রচুর জমিতে উপযুক্ত আবাদে এলাকা গুলোতে বিপুলভাবে জবা ফুলের চাষ করা হয়। তাই এই জবা ফুল নিয়ে অনেকের মনের মধ্যে একটি আবেগ কাজ করে। জবা ফুলের ইংরেজি নাম হলঃ Chinese hibiscus অথবা China Rose. জবা ফুল মালভেশি গোত্রের অন্তর্গত চির সবুজ পুষ্পধারি গুল্ম। জবা ফুলের উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে।

জবা ফুলের উপকারিতা

জবা ফুল হলো বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ফুলের নাম। বাংলাদেশে অনেক স্থানে এখন বাণিজ্যিকভাবে জবা ফুলের চাষ করা হয়। কেননা জবা ফুলের উপকারিতা অনেক রয়েছে।জবা ফুলের উপকারিতা অধিক পরিমাণে থাকার কারণে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক উর্বর স্থানে জবা ফুলের চাষ করা হয়। জবা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হল বোরবোরিয়া স্পিনোসা। জবা ফুলের উপকারিতা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • মাথার ত্বকের খুশকি কমাতে সাহায্য করে
  • শিশু এবং বড়দের শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করা যায়
  • জবা ফুল ও জবা ফুলের পাতার নির্যাস প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • লাল জবা শরীরে আয়রনের ঘাতটি কমাতে সাহায্য করে
  • রক্তশূন্যতা রোধ করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে
  • চুলের অকালপক্কতা দূর করে
  • ফাংগাল ইনফেকশন দূর করে
  • মুখের ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে
  • হেয়ার ফল সমস্যা সমাধান করে
  • মুখের ব্রণ নিরাময় করে
  • এলার্জি সমস্যা দূর করে

জবা ফুলের অপকারিতা

জবা ফুলের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন জবা ফুলের অপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি জবা ফুলের উপকারিতা গুলো জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই জবা ফুলের অপকারিতা গুলো জেনে রাখুন। জবা ফুলের বিভিন্ন উপকারিতা থাকার পাশাপাশিও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। জবা ফুলের চা নিয়মিত গ্রহণ করলে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেগুলো হল-
  • পেটব্যথা
  • গ্যাসের সমস্যা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • বমি বমি ভাব
  • মাথা ব্যথা
  • শরীরে পানির ঘাটতি
  • সোডিয়াম ও পটাশিয়াম ইম ব্যালেন্স
  • স্বাভাবিক দুর্বলতা
  • মাথা ঝিমঝি্‌ম, মাথা যন্ত্রনা ও মাথা ভারী হয়ে থাকার মত সমস্যা।

চুলের যত্নে জবা ফুলের পণ্য

চুলের যত্নে জবা ফুলের পণ্য বাজারে অনেক ধরনের রয়েছে। জবা ফুলের কাঁচা উপাদান দিয়ে চুলের জন্য অনেক ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। চুলের যত্নে জবা ফুলের পণ্য গুলো কি কি তার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • জবা কুসুম তেল
  • জবা শ্যাম্পু
  • জবা হেয়ার মাস্ক
  • জবার হেয়ার কন্ডিশনার

চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার

চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার সব থেকে বেশি করা হয়। জবা ফুলের বিভিন্ন তেল দিয়ে চুলের যত্ন করে থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের চুলের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী এই তেল গুলো। চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার কোন কোন ক্ষেত্রে করা হয় সেগুলো হলঃ
  • জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড থাকে যা চুলের বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে সাহায্য করে। চুলের ক্যারোটিন চুলের মসৃণতা রক্ষা করে এবং চুলকে মজবুত করে। জবা ফুলে বিদ্যমান অ্যামাইনো এসিড ক্যারোটিন উৎপন্ন করতে সক্ষম।
  • জবাতে স্লেশমা জাতীয় পদার্থ রয়েছে যা চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। চুলকে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর ধরে রাখতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে প্রাকৃতিক শ্যামপুর পর জবা ফুল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে জবা ফুলের পাতা ও ফুল উভয়ই কার্যকরী। রাসায়নিক কোন দ্রব্য ছাড়াই যদি চুলকে মসৃণ ও চকচকে করতে চান তাহলে নিয়মিত জবা ফুল ব্যবহার করতে পারেন।
  • এলোপিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তিগণদের রয়েছে জবা ফুলের উপকারী গুণাবলী। আয়ুর্বেদ স্বাস্থ্যমতে, শরীরের অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে চুলের গোড়া এবং মাথার টক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ফলে অতিরিক্ত চুল পড়া দেখা দেয়। চুল পড়া রোধ করতে জবা ফুল অত্যন্ত কার্যকরী।

ত্বকের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার

শুধুমাত্র যে চুলের যত্নের জন্য জবা ফুলের ব্যবহার করা হয় এমন কিন্তু নয়। ত্বকের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার রয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। ত্বকের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার গুলো হলঃ
  • জবা ফুলে এন টি ইনফ্লামেটরি গুণাবলী রয়েছে যা ত্বকের জ্বালা ভাব দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে বা সংবেদনশীল ত্বক তাদের জন্য এটি মহা ঔষধ।
  • অতিরিক্ত পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের ধুলো, ময়লা ও সূর্যের ক্ষতিকর রোশন থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
  • অকাল বাধ্যক্য কমাতে জবা ফুলের বিকল্প নেই।
  • জবা ফলে সামান্য পরিমাণ এসিড রয়েছে যা আপনার স্কিনকে এক্সপ্লয়েড করবে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও ঝলমলে করে তোলে।

রোগ নিরাময়ে জবা ফুলের ব্যবহার

রোগ নিরাময়ে জবা ফুলের ব্যবহার সব থেকে বেশি করা হয়। এই কারণে বাংলাদেশে এখন অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে বাণিজ্যিকভাবে জবা ফুলের চাষ করা হয়। এই জবা ফুলের উপাদান গুলো দিয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা হয় বলে জবা ফুলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগ নিরাময়ে জবা ফুলের ব্যবহার আলোকপাত করা হলোঃ

মূত্রনালীর সংক্রমণ

জীবানুন আসুক ও ছত্রাক নাশ ক উপাদান জবা ফুলে বিদ্যমান থাকায় এটি নতুন আলীর সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করে। জবা ফুলের চাপ ক্ষুদ্রান্তে ইকোলি ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে।

ডায়াবেটিকস নিরাময়

জবাতে বিদ্যমান উপাদান ইনসুলেন সংবেদনশীলতা হওয়ায় এটি ইনসুলিন নামক হরমোন পুনরুদ্ধার করে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। জবা ফুলে বিদ্যমান ফেরুলিক এসিড পলিফেরন হিসেবে কাজ করে এটি মূলত ডায়াবেটিক চিকিৎসার প্রতিনিধিত্ত করে।

চুল পড়া রোধ করে

প্রাচীন কাল থেকেই চুলের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। জবা ফুলের তেল চুলের গোড়া মজবুত ও শক্ত করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে। জবা ফুলের তেল মাথার তালুতে মালিশ করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মাথার টকের পুষ্টি সম্পূর্ণ হয়।

তাপমাত্রা/জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখে

জবা ফুলের চা ঠান্ডা, জ্বর ও জাতীয় অসুখের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে জবা ফুলের চায়ে শরীরের তাপমাত্রা শীতলিকার ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও জবার মিউকাস জাতীয় পদার্থ শরীরের প্রদাহ কমাতে খুবই কার্যকরী।

ত্বকের যত্নে

তিলের তেল বা নারিকেলের তেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে কিছুক্ষণ তাপ করুন। এবার এটি ঠাণ্ডা করে শুষ্ক তকে মাসাজ করুন। এটি মুখ পরিষ্কার করতে বলিরেখা দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ফেসপ্যাক

ফেসপ্যাক তৈরির জন্য লাল জবা অত্যন্ত উপকারী। কতগুলো ফ্রেশ জবা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে রাখুন। প্রতিদিন গোসলের পূর্বে দুধ বা পানি সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ও ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বকে পরিষ্কার করবে এবং মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

শরীরের ব্যথা কমাতে

জবা ফুল শরীরের ৭০% ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। লাল জবা ফুলের পাতা ও পাপড়ি নিয়ে পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ফুটিয়ে পানিটি ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর এটি পান করুন। একটানা 21 দিন এই পানি পান করলে শরীরের যে কোন ব্যথা কমে যাবে।

চুলের অকালপক্কতা রোধে

২০ মিনিট ধরে জবা ফুল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার ওই জবা ফুলের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে এবং চুলে লাগিয়ে 20 মিনিট রাখুন। চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।

লাল জবা ফুলের উপকারিতা

লাল জবা ফুলের উপকারিতা যদি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই লাল জবা ফুলের উপকারিতা জানতে পারবেন। লাল জবা ফুলের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • মাথার ত্বকের খুশকি কমাতে সাহায্য করে
  • শিশু এবং বড়দের শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করা যায়
  • জবা ফুল ও জবা ফুলের পাতার নির্যাস প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • লাল জবা শরীরে আয়রনের ঘাতটি কমাতে সাহায্য করে

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা ও রয়েছে অনেক। পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা গুলো যদি জানত তাহলে অনেকেই এটি ব্যবহার করত। পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা গুলো হলঃ লাল জবা বা পঞ্চমুখী জবা শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড বা আইরন থাকায় এটি অ্যানিমিয়া সমস্যা দূর করে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখে। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও গোঁফ দাড়ি বা চুলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে জবা ফুলের প্রলেপ ব্যবহার করার অনেক উপকারী।

জবা ফুলের বিভিন্ন ব্যবহার

জবা ফুলের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। জবা ফুলের বিভিন্ন ব্যবহার হলঃ
  • শিশু এবং বড়দের শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করা যায়
  • জবা ফুল ও জবা ফুলের পাতার নির্যাস প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • লাল জবা শরীরে আয়রনের ঘাতটি কমাতে সাহায্য করে
  • রক্তশূন্যতা রোধ করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে
  • চুলের অকালপক্কতা দূর করে
  • ফাংগাল ইনফেকশন দূর করে
  • মুখের ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে
  • হেয়ার ফল সমস্যা সমাধান করে

জবা ফুলের উপকারিতা - শেষ কথা

উপরের আলোচনা অনুযায়ী আপনি নিশ্চয়ই জবা ফুলের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। আপনি চাইলে এখন জবা ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সফল হতে পারেন। নতুন উদ্যোগের মধ্যে জবা ফুলের চাষ এখন ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন। জবা ফুলের সঠিক ব্যবহার জেনে আপনি যদি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ওষুধ হিসেবে কাজ করবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url